মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে নৌকা চুরির অভিযোগে মাটি কাটার শ্রমিককে গাছে বেঁধে মারধর ও অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর শাশুড়ি আসমা বেগম আজ বুধবার দুপুরে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী শ্রমিক হলেন শ্রীনগরের আরধীপাড়া কানাইনগরের আমির আলী শেখের ছেলে রোমান শেখ (৩৫)। প্রায় ১০ বছর আগে একই উপজেলার দিঘিরপাড় এলাকার আসমা বেগমের মেয়ে সোনিয়াকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে রোমান শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় মাস আগে স্থানীয় মিজানুর ও আতিকের একটি কোষা নৌকা চুরি হয়। এ ঘটনায় তাঁরা রোমানকে সন্দেহ করতে থাকেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে কানাইনগর বালুর মাঠ এলাকায় রোমানকে পেয়ে মিজানুর, আতিক, ইমরান, দিলা, ইয়ানুছ ও বিল্লাল মিলে তাঁকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাঁকে জোর করে বিল্লালের ট্রলারে উঠিয়ে আড়িয়ল বিলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রোমানকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, গাছের সঙ্গে দুই হাত বেঁধে রোমানকে কয়েকজন ব্যক্তি বেদম মারধর করছেন। চারপাশে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি।
রোমানের স্ত্রী সোনিয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার দুই ছেলেমেয়ে আছে। আমার স্বামী এক দিন ধরে নিখোঁজ। ওরা আমার স্বামীকে বর্বরভাবে মেরেছে। এরপর তাঁকে আড়িয়ল বিলে নিয়ে গেছে। পুলিশ ও প্রশাসন দ্রুত আসামিদের আটক করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিক এবং আমার স্বামীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করুক—এটাই আমার দাবি।’
শাশুড়ি আসমা বেগম বলেন, ঘটনার পর থেকে রোমান নিখোঁজ রয়েছে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান মেলেনি। বিবাদীরা পরিকল্পিতভাবে রোমানকে অপহরণ করেছে।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মিজানুরের মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। বর্তমানে নিখোঁজ রোমানকে উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’