মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিলিং ও সার্ভার শাখায় তালা ঝুলিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। এ সময় প্রায় আধা ঘণ্টা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) খন্দকার মাহমুদুল হাসানকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আজ বুধবার সকালে জেলার শ্রীনগর উপজেলার বেজগাঁও এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে ডিজিএমকে উদ্ধার করে।
জেলার শ্রীনগর উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান, আন্দোলনরত ২০-২৫ জন কর্মচারী সকালে তাঁর অফিসকক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁকে অবরুদ্ধ করে সার্ভার ও বিলিং শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি থানা-পুলিশকে অবগত করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ হাজির হলে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলে যান। পরে তাঁকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে বিলিং ও সার্ভার শাখার তালা ভেঙে ফেলা হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি হামিদুল ইসলাম লিংকন বলেন, ‘আমি গ্রাহকদের প্রতিনিধি। গ্রাহকদের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়—এমন কোনো ধরনের আন্দোলন-সংগ্রামকে সমর্থন করি না। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের দাবি যদি যৌক্তিক হয়, তাহলে সেটি অন্যভাবেও আদায় করা সম্ভব। আমি তাঁদের অনুরোধ করছি, তাঁরা অবশ্যই তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করতে পারেন। তবে কোনোভাবেই গ্রাহকদের ভোগান্তির কারণ হয়ে নয়।’
এদিকে গ্রাহকেরা বলছেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে তাঁরা সেবা পাচ্ছেন না। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। গত দুদিন ধরে বিদ্যুৎবিভ্রাটের পরিমাণ বেড়েছে। এমনটা চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ খেপে যাবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারী এক কর্মচারী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই কর্মবিরতি করছি।’