মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি কালীমন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার ভোরে সদরপুর ঘোনা এলাকায় কালীমন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুন, নাকি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে ফায়ার সার্ভিস।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত না করে আগুনের সূত্রপাত কোত্থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে না।’
সকালেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিনসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থলে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এসেছেন।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ও মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে আধাপাকা ঘরে কালীমন্দিরে আগুন জ্বলতে দেখেন লোকজন। পরে এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরই মধ্যে মন্দিরের কয়েকটি প্রতিমা ও ঘর পুড়ে যায়।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, ‘এই মন্দিরে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বালানো হয়। এ ছাড়া বছরে একবার পূজা-অর্চনা হয়। এলাকায় কারও সঙ্গে তাদের কোনো বিরোধ নেই। কীভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত নন।’ তবে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গুরুত্ব দিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সবকিছু বিবেচনা করেই তদন্ত করা হচ্ছে।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেজবা-উল সাবেরিন বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে আগুনের কারণ জানতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হবে।’