মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঢাকা–আরিচা মহাসড়ক সাড়ে তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এতে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং সড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
আজ রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে পাটুরিয়া ঘাটের প্রবেশপথ আরসিএল মোড়ে শতাধিক নারী-পুরুষ বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। ভাঙনকবলিত মানুষ নদী রক্ষায় স্লোগান দেন এবং মহাসড়কে বসে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এরপর ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ভাঙন দেখা দেয়। ঝুঁকি নিয়ে এসব ঘাট দিয়ে প্রতিদিন যানবাহন পারাপার চলছে। পাশাপাশি অন্তত ৩০টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি ন্যূনতম খোঁজও নেয়নি। ফলে তাঁরা মানববন্ধনের পর মহাসড়ক অবরোধে বসতে বাধ্য হন।
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না হলে পাটুরিয়া ঘাট অচল করে দেওয়া হবে।’
অবরোধে দুর্ভোগে পড়া যাত্রীরা জানান, প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে। জনগণের কষ্ট দিয়ে এমন আন্দোলন ঠিক নয়।
পরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘ভাঙনকবলিত স্থানগুলোয় প্রতিদিন খোঁজ নিচ্ছি। নদীশাসনের দায়িত্ব আমাদের নয়। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএকে জানিয়েছি। দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে।’