পদ্মা নদীর পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাটে ডুবে যাওয়ার অষ্টম দিনে ফেরি রজনীগন্ধার কিছু অংশ পানিতে ভাসিয়েছে শক্তিশালী উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। আজ বুধবার সন্ধ্যার দিকে নদীর তলদেশে থেকে ফেরিটির এই অংশ ভাসিয়ে তোলা হয়। একই সময় নদীতে নিমজ্জিত আরও একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকাজে অংশ নেয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর একটি সার্ভে জাহাজসহ রুস্তম, হামজা ও প্রত্যয় নামক শক্তিশালী তিনটি জাহাজ।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত পদ্মায় নিমজ্জিত আটটি ট্রাক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি একটি ট্রাক শনাক্ত করা হয়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজার মাধ্যমে ট্রাকটি দ্রুত উদ্ধার করা হবে।’
এর আগে গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে নয়টি যানবাহনসহ ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা নদীতে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার ৬ষ্ঠ দিনে পদ্মায় ভাসমান অবস্থায় ফেরির ইঞ্জিনচালকের লাশ উদ্ধার হয়।
উদ্ধার ইউনিট প্রধান ও বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘নিমজ্জিত ফেরিটি তীব্র স্রোতে নদীর তলদেশে উল্টে ছিল। ফলে ফেরিতে পলি জমে ওজন আরও বেড়ে যায়। ২৪০ টন ওজনের ফেরি ৩০০ টন ছাড়িয়ে যায়। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম দিয়ে ৮০ থেকে ৯০ টন ভারোত্তোলন সম্ভব।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন বলেন, ‘নদীতে প্রবল স্রোত, কুয়াশা ও কনকনে শীতে উদ্ধার কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন উদ্ধার সরঞ্জাম ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডুবন্ত ফেরিটি কিছুটা ভাসানো সম্ভব হয়েছে।’