রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বেড়িবাঁধ এলাকায় মাদক কারবারি রকি হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মাদক কারবার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রকিকে হত্যা করা হতে পারে। তবে ঠিক কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল সোমবার বিকেলে মাদারিপুর জেলার কালকিনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. আবু তালেব মেম্বার (৩৭) ও মো. পলাশ খাঁ (৩৩)। আলেক, আবু বক্কর ও দুলাল নামে আরও তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আবু তালেব ও পলাতক বক্কর সম্পর্কে ভাই। এছাড়া আসামিরা সবাই পরস্পরের আত্মীয়।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, গত ২৩ জুন গভীর রাতে কামরাঙ্গীরচরের বেড়িবাঁধ এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রকিকে পরিকল্পিতভাবে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
আসামিরা হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা রকিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে গেলে পথেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রকির মা রাজিয়া বেগম কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। পরে তদন্ত ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের মাদারিপুরের কালকিনি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডটি মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে কি না, জানতে চাওয়া হলে ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। যেহেতু গতকাল তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাই এখনও সেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অপরাধ প্রবণতা বাড়ায় তা নিয়ন্ত্রণে নতুন কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আমাদের অন্যান্য বাহিনীগুলোকেও আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে গত জুন মাসেও বিভিন্ন অভিযান চালিয়েছি।
‘মূলত ওই অঞ্চল ও আশপাশ এলাকার মানুষ ভাসমান হওয়ায় সেখানে অপরাধের পরিমানটা বেশি। আশা করি, আগের তুলনায় অপরাধ অনেকটা কমিয়ে আনতে পারব।’