লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চাষি ইয়াকুব আলীর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা সব মাছ মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের পণ্যিতপাড়া এলাকায় ১ একর জমির প্রজেক্টের পুকুরে মরা মাছ ভেসে ওঠে। ভুক্তভোগী চাষি ইয়াকুব আলী ওই গ্রামের দিল মাহমুদের ছেলে। বিষ প্রয়োগে পুকুরে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে বলে জানিয়েছেন ইয়াকুব আলী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাড়ির কাছে ১ একর জমিতে মাছের প্রজেক্ট করেন ইয়াকুব আলী। কয়েক বছর ধরে এ প্রজেক্টটি চালাচ্ছেন তিনি। অন্যান্য দিনের মতো গতকাল রোববার রাতে মাছের প্রজেক্ট দেখভাল করে বাড়ি যান তিনি। আজ সকালে প্রজেক্টে এসে দেখেন মাছগুলো মারা যাচ্ছে। প্রজেক্টের ছোটবড় সব ধরনের মাছ মরে ভেসে উঠছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা হিংসার বশবর্তী হয়ে মাছের প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মৎস্যচাষি ইয়াকুব আলী। পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চাষি ইয়াকুব আলী বলেন, ‘সকালে পুকুরে এসে দেখি, মাছ মরে ভাসছে। এ সময় পুকুরপাড়ে মাছ মারার জন্য ব্যবহৃত একধরনের বিষাক্ত ট্যাবলেট পড়ে থাকতে দেখি। রাতের আঁধারে কে বা কারা এই বিষ প্রয়োগ করে আমার ঘেরের পাঁচ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে।
ইয়াকুব আলীর ছোট ভাই ইজ্জত আলী বলেন, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতেই পুকুরে মাছ নিধন করেছে চক্রান্তকারীরা। পুলিশ প্রশাসন যেন বিষয়টি তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় নেয়। এ জন্য আমরা ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ করেছি।’
প্রতিবেশী ফজলুর হক ও গজর উদ্দিন বলেন, ‘ইয়াকুব মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কে বা কারা মাছভর্তি পুকুরে বিষ দিয়েছে। পুকুরে থাকা সব মাছ মারা গেছে। যারা এ কাজ করেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুল মোফাচ্ছালীন বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের যেকোনো ধরনের প্রণোদনা বা সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা এই ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেব।’ মাছচাষি ইয়াকুব আলী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।