লক্ষ্মীপুরে এক দম্পতিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রী রহিমা বেগমের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী নুরুল আলম। পরে তিনি নিজেও আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জেলার রায়পুর উপজেলার কানিবগাচর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। দুজনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁদের ঢাকার বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, তিন বছর আগে রহিমা বেগমকে বিয়ে করেন নুরুল আলম। রহিমা বেগম নুরুল আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে তাঁদের সংসারে অশান্তি বিরাজ করছিল। ইতিমধ্যে রহিমা বেগম এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ করতেন। আজ সকালেও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী নুরুল আলম ছোট বোতলের একটি সিলিন্ডার গ্যাস রহিমা বেগমের গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে নিজেও গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের ঢাকা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আরমান হোসেন বলেন, দুজনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের ঢাকার বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। রহিমা বেগমের শরীরের ৫০ ভাগ ও নুরুল আলমের ৪০ ভাগ পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পারিবারিক বিরোধ ও পরকীয়ার জেরে স্ত্রী রহিমা বেগমকে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন নুরুল আলম। পরে নিজেও গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।