হোম > সারা দেশ > বাগেরহাট

বাগেরহাটে বন্ধ হওয়া ১৭ শিল্প প্রতিষ্ঠান চালুর দাবি শ্রমিকদের

বাগেরহাট প্রতিনিধি

লখপুর গ্রুপের ১৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর দাবিতে বাগেরহাটের ফকিরহাটে কাটাখালী-মোংলা মহাসড়কে শ্রমিকদের মানববন্ধন। আজ শুক্রবার সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের ফকিরহাটে বিভিন্ন সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া লখপুর গ্রুপের ১৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শ্রমিকেরা। আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে এসব প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১৫ হাজার শ্রমিক চাকরি হারান বলে অভিযোগ রয়েছে। আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) উপজেলার কাটাখালী-মোংলা মহাসড়কসংলগ্ন মুনস্টার জুট মিলের সামনে এই কর্মসূচিতে কয়েক হাজার শ্রমিক অংশ নেন।

শ্রমিকেরা বলছেন, প্রায় ৪০ বছর লখপুর গ্রুপ এই অঞ্চলে রপ্তানিমুখী পণ্যের ব্যবসা করছে। গ্রুপের ১৭টি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ কাজ করতেন। বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন হাজার হাজার শ্রমিক। আয় না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাঁরা। শ্রমিকদের বাঁচাতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

লখপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বাগেরহাট সি ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক আব্দুল জলিল সরদার বলেন, ‘দুই যুগ ধরে এখানে কাজ করেছি। আমার মতো হাজার হাজার শ্রমিকের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয় এই গ্রুপে চাকরির মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, আমরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। অনেকে শহরে গিয়ে রিকশা চালাচ্ছেন। বেশির ভাগ শ্রমিকের সন্তানদের পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গেছে।’

বন্ধ হয়ে যাওয়া মুনস্টার জুট মিলসের শ্রমিক রিজিয়া বেগম বলেন, ‘জুট মিলে কাজের টাকায় সংসারের অনেক খরচ চলত। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের কাজ নেই। আমাদের খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটে।’

লখপুর গ্রুপের ১৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর দাবিতে বাগেরহাটের ফকিরহাটে কাটাখালী-মোংলা মহাসড়কে শ্রমিকদের মানববন্ধন। আজ শুক্রবার সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

লখপুর গ্রুপের কর্মকর্তারা জানান, লখপুর গ্রুপের মালিক এস এম আমজাদ হোসেন ১৯৮৫ সালে বাগেরহাট থেকে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি শুরু করেন। এরপর থেকে একে একে রপ্তানিমুখী ১৭টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত। কিন্তু ২০১২ সালের দিকে তৎকালীন সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার পরিবারের নির্দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলার পর ১৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

লখপুর গ্রুপের চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপে লখপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সমতার সরকার এসেছে। এই সরকার যদি স্থগিত করে রাখা ব্যাংক হিসাব খুলে দিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে আবারও প্রতিষ্ঠান চালু করা সম্ভব হবে।

যশোরের বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায় আর নেই

আবাসিক হোটেল থেকে জাপা নেতার মরদেহ উদ্ধার

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাংবাদিক নিহত, প্রাণিচিকিৎসক আশঙ্কাজনক

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাংবাদিক নিহত

খুলনায় আদালত প্রাঙ্গণে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ১৩ দফা দাবি পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের

প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে নিরাপত্তা দেওয়া হবে: কেএমপি কমিশনার

আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের বিবৃতি

খুলনায় আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

সাত দফা দাবিতে মিরপুরে রেলপথ অবরোধ, দুই ঘণ্টা পর প্রত্যাহার