ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্রে করে নাশকতার অভিযোগে সাংবাদিকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার করা এ মামলায় গত তিন দিনে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বলাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আওয়াল, সলেমানপুরের রিপন শেখ, আদর্শপাড়ার বাবলুর রহমান, এলাঙ্গী গ্রামের রাব্বি হাসান ও মল্লিকপুর গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন।
নাশকতার মামলায় ১৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে কোটচাঁদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বীর জনতা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লা বাশারকে। নাশকতার মামলায় সাংবাদিককে জড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কোটচাঁদপুরে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। তাঁরা অবিলম্বে সাংবাদিক আব্দুল্লা বাশারের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আব্দুল্লা বাশার বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। গত ১৫ বছর ধরে আমি দলীয় কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি সাংবাদিকতা আর কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। তবু আমাকে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় জড়ানো হয়েছে। অবিলম্বে এই মামলা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নাশকতার অভিযোগে ১৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি আছে আরও ১৫ জন। মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় সাংবাদিকের নাম থাকা প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘এ মামলার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি রয়েছে। তাঁরা মামলাটি করেছেন। এ ছাড়া ওই সময় আমি মামলায় যে গণমাধ্যমকর্মীর নাম আছে, তা বুঝতে পারিনি। এটা ভুলে হয়ে গেছে।’