ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আউশিয়া গ্রামে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ৪০-৪২ ইঞ্চি উচ্চতার সেই আলোচিত দম্পতির বিচ্ছেদ হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
বর আব্বাস মন্ডল ঝিনাইদহের শৈলকুপার আউশিয়া গ্রামের আজিবর মন্ডলের ছেলে ও কনে মিম খাতুন একই উপজেলার লক্ষণন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলী মোল্যার মেয়ে।
আব্বাস মন্ডলের বয়স ৩০ হলেও উচ্চতা তাঁর উচ্চতা মাত্র ছিল ৪০ ইঞ্চি। তার কনে মিলবে কি-না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাবা-মা। পরিবারের বড় সন্তান আব্বাস খর্বাকৃতি হওয়ায় পিতা-মাতার চেষ্টার অন্ত ছিল না। এক সময়ে সন্ধান পেয়েছিল ১৮ বছর বয়সী মিম খাতুনের, যার উচ্চতা ৪২ ইঞ্চি।
অবশেষে পুতুলের মতো এই কনেকে উভয় পক্ষে দেখা-দেখির পর মহা ধুমধামে বিয়ে হয়। এলাকার মানুষ দারুণ খুশি হয় এমন বিয়ের ঘটনায়। গণমাধ্যম, ইউটিউব, ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এমন আনন্দের সংবাদ। এমন দম্পতির জন্য ছিল সকলের শুভকামনা। কিন্তু টিকল না সেই সংসার।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিয়ের আগ থেকেই সংসার বা বিয়ের পিঁড়িতে বসার ইচ্ছে ছিল না আব্বাসের। আব্বাস ছন্নছাড়া আর বাউন্ডুলে প্রকৃতির হওয়ায় ভেঙে যায় তাদের সংসার। কপাল পুড়ল পুতুলের মতো দেখতে সুন্দরী মিম খাতুনের।
তবে বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আব্বাস মন্ডলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারণে দুই পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। সম্পূর্ণ বৈধ ভাবে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
আব্বাস মন্ডলের পিতা আজিবর মন্ডল বলেন, আশা করে ছেলেকে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদে আমি মর্মাহত। সবাই চেয়েছিলেন এ দম্পতির সুখী সংসার জীবন।