জয়পুরহাটের কালাই পৌরসভার তালুকদারপাড়া মহল্লায় এক শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার গভীর রাতে একদল ডাকাত পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লুটপাট চালায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালাই ময়েন উদ্দিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক নাফসি তালুকদার ও ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক তাজমিনা তালুকদারের বাড়িতে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুখোশ পরা আট ডাকাত রামদা, চাপাতি ও ছুরি নিয়ে প্রথমে বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর পরিবারের সদস্যদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে বাড়ির প্রতিটি তলা ও ঘরে তল্লাশি চালায় তারা।
শিক্ষক নাফসি তালুকদার জানান, ডাকাত দল দেড় লাখ টাকা নগদ, ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, চারটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসহ অন্তত ১৬ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ভোর ৪টার দিকে চলে যাওয়ার সময় ডাকাতরা হুমকি দিয়ে বলে যায় ‘চিৎকার চেঁচামেচি করলে ভালো হবে না।’
শিক্ষক তাজমিনা তালুকদার বলেন, ডাকাতরা বাড়িতে ঢুকেই আমাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। ঘরের প্রতিটি জায়গা তল্লাশি করে টাকা, স্বর্ণ ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আজ রোববার সকালে জয়পুরহাট সরকারি পুলিশ সুপার (পাঁচবিবি সার্কেল) তুহিন রেজা ও কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কালাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সাজ্জাদুর রহমান তালুকদার সোহেল বলেন, এটি পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দেশে এই ডাকাতি হতে পারে।
প্রতিবেশী ইসলাম তালুকদার জানান, ‘ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাজমিনা তালুকদার আমার বাড়িতে এসে ডাকাতির কথা জানান। সঙ্গে সঙ্গেই আমি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখি, সবকিছু তছনছ করা।’
কালাই থানার ওসি জাহিদ হোসেন আজ দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখন (বেলা ২টা) পর্যন্ত কোনো লিখত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।