হোম > সারা দেশ > জয়পুরহাট

‘হিন্দু-মুসলমান’ সংঘর্ষ: ইজারার মেয়াদ শেষে দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটে বিবদমান সেই সরকারি পুকুরটি ইজারার মেয়াদ ছিল ১৪৩০ সন পর্যন্ত। হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে এত দিন তা ছিল। ইজারা পাওয়ার আগে মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন সেখানে মাছ চাষ করত। ফের ইজারার মেয়াদ বাড়ানো আবেদন করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পক্ষকেই দেয়নি। বর্তমানে পুকুরটি ইজারাবিহীন থাকায় তা দখল নিয়েই দুই সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে শুক্রবার সদর উপজেলার পশ্চিম তেঁতুলিয়া গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ দুপক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় পশ্চিম তেঁতুলিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে সুবাশ চন্দ্র বর্মণ নামের একজন ব্যক্তি বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন পশ্চিম তেঁতুলিয়া গ্রামের রাজেন বর্মণ (৭৫), একই গ্রামের বিজলী রানী (৪০), মিঠুন চন্দ্র (২৬), অর্চনা রানী (৪৩), পবিত্রা রানী (৪৫) ও ভারতী রানী (৪৫); আর জিতারপুর গ্রামের আব্দুস ছালাম (৫৫)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পশ্চিম তেঁতুলিয়া গ্রামে ‘কোঁচ-পুকুর’ নামের একটি সরকারি পুকুর ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কয়েক বছর ধরে পশ্চিম তেঁতুলিয়া কোচপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারা নিয়েছিল। পুকুরটির ইজারার মেয়াদ ছিল ১৪৩০ সন পর্যন্ত। তারও আগে ওই পুকুরটি পার্শ্ববর্তী জিতারপুর গ্রামের মুসলমান সম্প্রদায়ের, মওলা, মিস্টার, কাসেম পক্ষের লোকজন মাছ চাষ করতেন। পুকুরটি নিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলমান আছে। তাই ১৪৩১ সাল থেকে পুকুরটি ইজারা বিহীন অবস্থায় আছে।

এ পরিস্থিতিতে হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন পুকুরটি দখল নিয়ে নিজেদের পক্ষে কথা শুরু করেন।

পশ্চিম তেঁতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও মামলার বাদী সুবাশ চন্দ্র বর্মণ জানান, ১৪৩০ সন পর্যন্ত তাঁদের গ্রামের খাস পুকুরটি ওই গ্রামের একটি সমিতির নামে ইজারা নেওয়া ছিল। মেয়াদ শেষে ১৪৩১–৩২ সনের জন্য পুনরায় পুকুরটি ইজারা নিতে উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করাও হয়েছিল। কিন্তু সেটি আর ইজারা পাননি তাঁরা। তা সত্ত্বেও তাঁরা ওই পুকুরে মাছ চাষ করা অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা।

এ অবস্থায়, হঠাৎ গতকাল শুক্রবার সকালে জিতারপুর গ্রামের মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন ওই পুকুর দখলে নিতে জোরপূর্বক মাছ ছেড়ে দিতে আসে। তাঁদের বাধা দিলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা করা হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। তাঁরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

আর জিতারপুর গ্রামের আব্দুস ছালামের দাবি, পশ্চিম তেঁতুলিয়া গ্রামের ‘কোঁচ-পুকুর’ পুকুরসহ ওই পুকুরপাড়ের সাত বিঘা জমি তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তি। যা পশ্চিম তেঁতুলিয়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। তাঁরা পুকুরটি শুক্রবার সকালে দখলে নিতে গেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাধা দেয়। তা থেকেই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাহেদ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জয়পুরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম তেঁতুলিয়া গ্রামে চাষ করা একটি পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে সুবাশ চন্দ্র বর্মণ নামের একজন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে অভিযান চালিয়ে চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

জয়পুরহাট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাজিব কুমার বিশ্বাস জানান, ওই পুকুরটি নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। সে জন্য বর্তমানে কোনো পক্ষকেই ওই পুকুরটি ইজারা দেওয়া হয়নি।

সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি

দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার

চাপ ছাড়াই টিউবওয়েল দিয়ে পানি পড়া নিয়ে হুলুস্থুল, অতঃপর যা জানা গেল

নবান্নে জমে উঠেছে কালাইয়ের মাছের মেলা

বাড়িতে ভাত খাইতে গেলেও নাকি রবিউলের অনুমতি নিতে হবে—ডাকাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

জয়পুরহাটে চাতালের হাউসে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

স্টেশনমাস্টারের দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধন

এনসিপি হয় সরকারি দল, না হয় শক্তিশালী বিরোধী দল হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চায়: সারজিস

এনজিওর বিরুদ্ধে ৫০ শিক্ষকের জামানত ও বেতন আটকে রাখার অভিযোগ