যশোরের মনিরামপুরে ঘরে ঢুকে কামরুল হাসান (৩৫) নামে এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাকে হাতুড়ি ও জিআই পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জালালপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে ঢুকে পাঁচ-সাতজন যুবক তাঁকে পিটিয়েছে।
কামরুল ওই গ্রামের মৃত মোসলেম গাজীর ছেলে। ৮-১০ বছর ধরে তিনি পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করছেন। কামরুল খেদাপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
খবর পেয়ে মনিরামপুর থানা-পুলিশ কামরুলকে উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। তবে কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে পুলিশের সোর্স পরিচয়ে বহু সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
কামরুলের খালাতো ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে কামরুল ঘরে শুয়ে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী-সন্তান বাড়িতে ছিল না। সেই সুযোগে পাঁচ-সাতজন দুর্বৃত্ত লোহার রড, জিআই পাইপ ও হাতুড়ি নিয়ে কামরুলের ঘরে ঢোকে। এরপর তারা কামরুলকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে কামরুল ঘর থেকে বেরিয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার কামরুলের অভিযোগ, পুলিশের সোর্স হিসেবে বিভিন্ন সময়ে তিনি মাদক কারবারিদের ধরিয়ে দিয়েছেন। যারা তার ওপর হামলা করেছে তারা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কামরুল পুলিশের সোর্স পরিচয়ে অনেককে মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিতে জিম্মি করে রেখেছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তাঁর দৌরাত্ম্য কিছুটা কমেছে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, কামরুলকে মারধর করার খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।