কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে রাস্তাঘাট, বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে পানিবন্দী বিভিন্ন এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
জেলার তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি বেড়েছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আজ সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি বাড়ার কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া; ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ী, ফুলছড়ি, ফজলুপুর; সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়ন এবং সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ও হলদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে সদর উপজেলার মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। একইভাবে ঘাঘট নদের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৫৯ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, করতোয়া গোবিন্দগঞ্জে চকরহিমাপুর পয়েন্টে ১০২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই পানি বাড়ে।