হোম > সারা দেশ > গাইবান্ধা

হাইকোর্ট থেকে জামিনে কারামুক্ত ব্যক্তি গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার শিশু বায়েজিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে শেরেকুল মন্ডল (৫০) হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে এলাকায় এসে গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আজ রোববার দুপুরে পলাশবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দিবাকর অধিকারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের ছেলে মোকছেদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মাহাবুল ইসলাম (৩০) ও আব্দুল করিম সরকারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের চৌরাস্তাবাজার এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন শেরেকুল মন্ডল।

নিহত শেরেকুল উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, শিশু বায়েজিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শেরকুল সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। শনিবার রাতে তিনি পাশের চৌরাস্তা বাজারে আসেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাঁকে ঘিরে ফেলে। প্রাণ বাঁচাতে বাজারের একটি হোটেলে আশ্রয় নেন শেরকুল। সেখানে শতাধিক নারী-পুরুষ তার ওপর হামলা চালান। শেরকুলকে টেনে বের করে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে শেরকুলকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান।

গত ৮ মে বেলা ৩টার দিকে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের সৌদিপ্রবাসী তাহারুল ব্যাপারীর চার বছরের ছেলে বায়েজিদ।

পরদিন শিশুটির মা রায়হানা বেগম ছেলের সন্ধান চেয়ে পলাশবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েও শিশুটির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ১৩ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্দা বালুখোলা গ্রামের একটি ধানখেত থেকে বায়েজিদের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ওই দিন বিকেলে স্থানীয় দুই ব্যক্তি ধানখেতে কাজ করতে গিয়ে দুর্গন্ধ পান। দুর্গন্ধের সূত্র ধরে শিশুটির খণ্ডিত অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পরদিন ১৪ মে সন্ধ্যার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে বায়েজিদের মরদেহ তার গ্রামে পৌঁছায়। এরপর জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সে সময় বায়েজিদের মা রায়হানা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী শেরকুলের ছেলে রোমান এলাকার চিহ্নিত চোর। পাশাপাশি সে নেশায় আসক্ত। রোমানের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মেয়ে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় রোমান বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এরই জেরে তাঁর ছেলে বায়েজিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শিশুর মা রাহেনা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার অন্যতম আসামি শেরকুল ইসলামকে গত ২৬ মে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।

রোমানসহ অন্য আসামিরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সুদানে হামলা: ‘হামার একটাই ছোল, হামার ছোলক আনে দেও’

৩ উপজেলার দাপুটে শিক্ষাকর্তা

গাইবান্ধায় মাহফিলে বয়ানরত অবস্থায় ব্রেন স্ট্রোক, হাসপাতালে বক্তার মৃত্যু

প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে কবজি বিচ্ছিন্ন, আটক ৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধার আহ্বায়কসহ ৬ নেতাকে শোকজ

জাসদের কেন্দ্রীয় নেতাকে এনসিপির আহ্বায়ক করায় সদস্যসচিবের পদত্যাগ

জামায়াত নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

গাইবান্ধায় এনসিপির আহ্বায়ক হলেন জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা

আমাদের লক্ষ্য কাউকে শিবির বানানো নয়, ভালো মানুষ তৈরি করা: জাহিদুল ইসলাম

চা-দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা, বাড়ির পাশের ভিটায় মিলল মরদেহ