গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে গাইবান্ধার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।
গতকাল রোববার ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার এক লোহা গলানোর কারখানা থেকে এজাহারে তালিকাভুক্ত আসামি ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার পূর্বপাড়া এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে ইমরান এবং একই এলাকার হাসু মিয়ার ছেলে মো. মোহাইমিনুজ্জামান রবিন। রবিন গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ সরকার বলেন, দ্রুত রবিনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
পুলিশ সুপার জানান, ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকায় রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজন আসামির কাছ থেকে পুলিশ অনেক তথ্য পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, আলোচিত এই হত্যাকাণ্ড কি কারণে ঘটেছে এবং কেন করা হয়েছে পুলিশ তা জেনেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত তিন মাস আগে পূর্বপাড়া গ্রামের নবাব আলীর ছেলে কাঞ্চনের সঙ্গে মোটরসাইকেল ওভারটেক নিয়ে রকির বাগ্বিতণ্ডা হয়। গত ১১ জুলাই রাতে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি মোটরসাইকেলযোগে ওষুধ কিনে শহরের পূর্বপাড়া হালিম বিড়ি কারখানার সামনে পৌঁছালে কাঞ্চন ও তাঁর সঙ্গীরা তাঁকে পথ রোধ করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তাঁকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আতিকুর রহমান বাদী হয়ে ১০ জনের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।