ঈদের ছুটি শেষ। তালা খুলছে কর্মস্থলগুলোর। কর্মদিবস শুরু হতে থাকায় ধাপে ধাপে রাজধানীমুখী যাত্রা শুরু করেছেন ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষজন। ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ভোগ ও যানজটের চিত্র থাকলেও, ঈদের পর ঢাকায় ফেরা যাত্রা তুলনামূলকভাবে নির্বিঘ্নভাবে হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাস-ট্রেনে দেখা গেছে ভিড়। বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা সকাল থেকেই পৌঁছাচ্ছেন রাজধানীতে।
তবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জনসমাগমে মাস্ক পরার নির্দেশনা থাকলেও কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের মধ্যে তার তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি।
ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় ফিরছেন এমন এক যাত্রী মো. রাসেল বলেন, ‘ঈদের ছুটির পর কাজে ফিরতেই হবে, না গেলে চাকরির সমস্যা হবে। তবে যাত্রাটা মোটামুটি ভালোই হয়েছে। ট্রেন কিছুটা দেরি করলেও ভোগান্তি হয়নি।’
একই সঙ্গে ঢাকায় ফিরেছেন নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টসকর্মী সুলতানা আক্তার। তিনি বলেন, ‘আজ কাজে যোগ দিতে হবে। তাই সকালেই ট্রেনে উঠেছি। ভিড় ছিল, কিন্তু সিট পেয়েছি। তবে মাস্ক কেউ পরছে না, এটা নিয়ে একটু ভয় লাগে।’
যাত্রা নির্বিঘ্ন হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মাস্ক পরা ও সচেতনতা জরুরি। ভিড়পূর্ণ পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে সতর্ক করছেন তাঁরা।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাত্রীদের মাস্ক পরার জন্য আমরা সচেতন করছি। আর এটা যাত্রীদের নিজেদেরও সচেতন হওয়া উচিত। আপাতত রেল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ চলছে। তবে স্টেশনে এখনো সেই অর্থে জোরদার চেকিং করা হচ্ছে না মাস্ক পরার বিষয়ে। আপাতত সচেতন করার পর্যায়ে আছে।’
ঈদের ফিরতি যাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্ন হচ্ছে। সকাল থেকে সবগুলো ট্রেন নির্ধারিত সময় কমলাপুরে এসেছে এবং নির্ধারিত সময় কমলাপুর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছেড়ে গেছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। আমরা ধারণা করছি আগামী দুই দিন যাত্রী চাপ আরও বাড়বে।’
আগামী ১৫ জুন খুলবে সরকারি অফিস-আদালত।