নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এনবিআরকে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। তাহলেই তারা রেফারেন্স মামলা করতে পারবে। গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল খারিজ করে আজ সোমবার এমন রায় দিয়েছেন বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ।
জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের কাছে ২০১১-১২ অর্থ বছরে ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৯ টাকা ও ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ১৯৭ কোটি ৭০ লাখ ৯১ হাজার ২১৯ টাকা আয়কর দাবি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নোটিশ দেয়।
এ নোটিশের বিরুদ্ধে প্রথমে কমিশনার অব ট্যাক্সেসে আপিল করলে সেটি খারিজ হয়। পরে ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে গেলে সেখানেও তাদের আবেদন খারিজ হয়।
এদিকে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আয়কর রেফারেন্স মামলা করার শর্ত হিসেবে ২৫ ভাগ টাকা জমা দেওয়ার শর্ত মওকূফ চেয়ে এনবিআরে আবেদন করা হয়। সেটি খারিজ হলে রিভিউ আবেদন করেন তারা। তবে তাও খারিজ করে দেয় এনবিআর। আর ওই রিভিউ খারিজের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালে রিট করলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে সেই রুল সোমবার খারিজ করে রায় দেন আদালত।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি। মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে রেফারেন্স মামলা করতে।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার তাহমিনা পলি আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্টে রেফারেন্স আপিল করতে হলে ২৫ শতাংশ টাকা জমা দিতে হয়। গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ২৫ শতাংশ টাকা জমা দেওয়ার শর্ত মওকুফ চেয়ে এনবিআরে আবেদন করা হয়েছিল। সেটি খারিজ হলে রিভিউ আবেদন করা হয়। তাও খারিজ করে দেয় এনবিআর। আর ওই রিভিউ খারিজের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালে রিট করলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে সেই রুল আজ সোমবার খারিজ করে রায় দেন আদালত।