মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে মানুষের। মধ্যরাত থেকে চলা মানুষের এই ঢল সামলাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করছে বিএনসিসির বিভিন্ন উইং, স্কাউট ও রেঞ্জারসের স্বেচ্ছাসেবীরা। সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের শ্রদ্ধা জানানো শেষে রেখে যাওয়া ফুলের স্তূপ সরিয়ে বেদি পরিষ্কারে কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবীরা।
তবে ফুল সরানোর চেয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেকের বেদিতে উঠতে চাওয়ার আবদার মেটাতে। স্বেচ্ছাসেবকদের বাধা উপেক্ষা করে নানা অজুহাতে বেদিতে উঠে আসছেন সাধারণ মানুষ। এতে নষ্ট হচ্ছে বেদির সাজ ও সৌন্দর্য।
স্বেচ্ছাসেবীদের নিষেধের পাশাপাশি একটু পর পর শহীদ মিনারের ঘোষণা মঞ্চ থেকেও বারবার সাধারণ মানুষকে বেদি থেকে নেমে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে। তারপরও কেউ বাধা মানছেন না।
সাতক্ষীরা থেকে এসেছেন ইয়াসিন আরাফাত। সঙ্গে এনেছেন পার্সিয়ান প্রজাতির একটি বিড়াল। নাম প্লিউ। বিড়ালকে নিয়েই শহীদ মিনারের বেদিতে উঠেছেন ছবি তোলার জন্য। এমনকি শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা ফুল দিচ্ছেন সেই বিড়ালের গায়ে!
সকাল থেকে দেখা গেছে, অনেকেই ছবি তোলার জন্য বেদিতে সাজিয়ে রাখা ফুলের ওপরে উঠে ছবি তুলছেন। স্বেচ্ছাসেবীদের নিষেধের কেউই তোয়াক্কা করছেন না।
বিএনসিসি এয়ার উইংয়ের স্বেচ্ছাসেবী খাদিজা খাতুন তমা বলেন, ‘সকাল থেকে মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে রেখে যাওয়া ফুল দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র, শহীদ মিনার, বেদিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্প আলপনার মতো বানিয়েছিলাম। সকাল থেকে অনেক কষ্ট করে আমরা এগুলো বানিয়েছি। কিন্তু অতি উৎসাহী অনেকে ছবি তোলার নামে এগুলো নষ্ট করে ফেলছেন। কেউ আবার ছবি তোলার জন্য ফুলগুলো আকাশে ছুড়ছেন। চোখের সামনে এগুলো দেখলে কষ্ট লাগে, কিন্তু কিছু করার নেই।’