বইমেলায় শুক্রবারের সকালটা শুধুই শিশুদের জন্য। এদিন সিসিমপুরর ইকরি, হালুম, শিকু আর টুকটুকিকে কাছ থেকে দেখতে বাবা-মায়ের হাত ধরে মেলায় আসে কচিকাঁচারা।
টুকটুকি যেহেতু সব সময় বই পড়তে বলে, ভালো বই পড়ার উপদেশ দেয়, তাই টুকটুকিকে সব থেকে বেশি ভালো লাগে তানহার।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী বলে, মেলা শুরু হতেই একবার এসেছিল। এরপর ২০ দিন পড়ে শেষ করেছে চারটি গল্পের বই। এর মধ্যে সুকুমার রায়, উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীসহ ভূত আর রূপকথার গল্পের বইও আছে। আজ আবার নতুন বই কেনা হবে। ক্লাসের পড়ার চাপ থাকলেও গল্পের বই তাকে টানে বেশি।
আজ সকালে বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, আজ শিশুপ্রহরে ছোটদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিভাবকেরাও এদিন নিজের শিশুটির জন্য কিনেছেন বিভিন্ন ধরনের বই।
শাহীন আলমের অভিযোগ, শিশুদের জন্য বয়সভিত্তিক বই নির্বাচনে খুব দ্বিধায় পড়তে হচ্ছে। স্টলগুলোতেও নান্দনিকতা খুব একটা চোখে পড়েনি। অথচ আগে শিশুদের স্টলগুলো হতো দৃষ্টিনন্দন ও কারুকার্যময়।
শিশুপ্রহরে দেখা যায় জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুরের চরিত্র টুকটুকি, ইকরি, হালুম, ও শিকুদের উপস্থিতি। পর্দায় দেখা এসব চরিত্র চোখের সামনে দেখে শিশু-কিশোরসহ অনেক অভিভাবকও তাদের সঙ্গে মেতে ওঠেন খুনসুটিতে। গানের তালে তালে জনপ্রিয় চরিত্রগুলোর সঙ্গে মজা করে শিশু-কিশোরেরা। আর এ ধরনের আয়োজন শিশুদের মেধা বিকাশে সহায়ক হবে বলে মনে করেন অভিভাবকেরা।
ঝিলমিল প্রকাশনীর প্রকাশক কাজী জাহেব বলেন, ‘শিশুপ্রহরে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। শিশুদের পদচারণায় প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে বইমেলা। এ ছাড়া শিশুদের বইও বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালো। শিশুরা ভূতের গল্প, কমিক বুক, ছড়া ও শিশুদের ছোটগল্পের বই বেশি কিনছে। তারা নিজেদের পছন্দমতো বই কিনছে আর আমরাসহ অভিভাবকেরাও সাহায্য করছি।’
একুশে বইমেলায় শিশুদের মূল আকর্ষণ এই শিশুপ্রহর। মূলত শিশুদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতেই মেলার একটি অংশকে ঘোষণা করা হয় শিশুপ্রহর। কড়া রোদে পুরো বইমেলা টইটই করে ঘুরে বেড়াচ্ছে শিশুরা। ভালোবেসে মেখে নিচ্ছে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ।