চীনের বেইজিংয়ের পাইকারি কাঁচাবাজারের আদলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মার্কেট করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বেইজিংয়ের হোলসেল মার্কেট থেকে কনসেপ্ট (ধারণা) নিয়ে ডিএনসিসির মার্কেট তৈরিতে কাজে লাগাব। এখানকার মার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। তারা আমাদের সঙ্গে ডিজাইন শেয়ার করবে। ডিএনসিসির হোলসেল মার্কেটে বেইজিংয়ের মডেল অনুসরণ করা হবে।’
স্থানীয় সময় আজ সোমবার দুপুরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের বড় কাঁচাবাজার সিনফার্তি মার্কেট পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। এই হোলসেল মার্কেট থেকে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের ৮০ ভাগ খাবার সরবরাহ করা হয়।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগে বেইজিংয়ের অনেক ব্যবসায়ী ফুটপাতে দোকান করত। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে সিনফার্তি মার্কেট বেইজিংয়ে যে উদাহরণ সৃষ্টি করল, বেইজিংয়ের মতোই ডিএনসিসিতে হোলসেল মার্কেট করা সম্ভব হবে।
ঢাকাতে দুটো হোলসেল মার্কেট হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে ঢাকায় দুটো হোলসেল মার্কেট হবে। একটি হবে ঢাকা উত্তরে, অন্যটি ঢাকা দক্ষিণে। হোলসেল মার্কেট করার পর ঢাকার মধ্যে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে পারবে না। এটি করতে পারলে ঢাকা শহরের ট্রাফিক অনেক কমে যাবে।
ডিএনসিসির হোলসেল মার্কেটে সিনফার্তির মতো আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাবতলীতে ডিএনসিসির হোলসেল মার্কেটে ছোটখাটো পাওয়ারপ্লান্ট বসানোর পরিকল্পনা করেছি। কারণ অনেক বিদ্যুতের দরকার আছে। মন্ত্রণালয়ে ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কারণ সিনফার্তির মতো মার্কেটে হিমাগার দরকার, তাপমাত্রা কন্ট্রোল করা দরকার। যেসব জায়গায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবার রাখা দরকার। এসব কিন্তু তারা ব্যবস্থাপনায় রেখেছে। তাজা খাবারের জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দরকার।’
হোলসেল মার্কেট পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মাহে আলম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস. এম. শফিকুর রহমান প্রমুখ।