জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করার সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তখন শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেট সদস্যদের লক্ষ্য করে জুতা ও প্লাস্টিকের বোতল ছুড়ে মারেন। এ সময় সিন্ডিকেট সদস্যরা দ্রুত সরে গেলে আন্দোলনকারীদের একাংশ প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর চালান।
আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ১০টার দিকে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বসেছিলেন জাবির সিন্ডিকেট সদস্যরা।
সূত্র জানিয়েছে, সিন্ডিকেট সভায় জাবি উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন। পরে নিচে নেমে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের সামনে ব্রিফ করতে যান রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান।
এ সময় বলা হয়, গত ১৪, ১৫ ও ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনের কারণে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে বলে জানানো হয়। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ১৭ জুলাই বিকেল ৪টার মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাবির প্রক্টর অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিন্ডিকেট সদস্যসহ আমাদের ৫০-৬০ জন প্রশাসনিক ভবনে আটকা পড়েছেন। আমাদের পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছেন। অনেক পরে পুলিশ এসেছে।’