প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে নগরবাসী। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সকাল থেকেই যাত্রীরা আসতে শুরু করেছে স্টেশনে। সকাল ৯টা পর্যন্ত নীলসাগর এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। তবে সুন্দরবন সকাল ৯টা পর্যন্ত ছেড়ে যায়নি।
কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনের সবগুলো প্ল্যাটফর্ম যাত্রীতে ঠাসা। তবে অতিরিক্ত গরমে প্ল্যাটফর্মে বসে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভোগান্তি এড়াতে ট্রেন ছাড়ার এক থেকে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই এসে বসে আছে যাত্রীরা। এদিকে যারা টিকিট পায়নি, তাদের দেওয়া হচ্ছে স্ট্যান্ডিং টিকিট। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আজ ৩৭টি আন্তনগর এবং দুটি ঈদ স্পেশালসহ মোট ৩৯টি আন্তনগর ট্রেন ছেড়ে যাবে।
মো. দেলওয়ার হোসেন যাবেন দিনাজপুর। কক্সবাজারে একটি প্রজেক্টে কাজ করেন। আজই কক্সবাজার থেকে বাসে ঢাকায় এসেছেন। কিন্তু ঢাকা থেকে দিনাজপুরে যেতে ট্রেনের টিকিট আগে থেকে কাটা হয়নি। ফলে স্টেশনে এসে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। অনেক চেষ্টা করে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট পেয়েছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে এসেছেন রিয়াজুল ইসলাম ও তাঁর পরিবার। যাবেন খুলনায়। তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু যথাসময়ে ট্রেন ছাড়েনি। ৯টা ৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য টাইম দেখানো হচ্ছে। যথাসময়ে ট্রেন না ছাড়ায় স্টেশনে বসে বাচ্চাদের নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসেছি, যাতে ঠিকঠাকভাবে উঠতে পারি। যাত্রীদের আসলে কোথাও স্বস্তি নেই। ট্রেনের টিকিট কাটতেও ভোগান্তি, যেতেও ভোগান্তি। এসব দেখার কেউ নেই।’