কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতিকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বিকে বহিষ্কারসহ ছয় দফা দাবিতে আজও উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। আজ শনিবার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ তাঁরা ক্লাস-পরীক্ষাও বর্জন করেন।
আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধের দাবিতে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনের এক সংগঠক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল আমাদের আন্দোলনের পর তথাকথিত রাজনৈতিক সংগঠনের কিছু ব্যক্তিবর্গকে ফেসবুকে পোস্ট করে আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে অপপ্রচার চালাতে দেখি। আমরা তাদের এমন বক্তব্যকে ধিক্কার জানাই। আমরা সব সময়ই বুয়েটের সংবিধানে থাকা ‘‘বুয়েটে সকল রকম ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ’’—এই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সংঘবদ্ধ এবং যেকোনো মূল্যে বুয়েটকে ছাত্ররাজনীতির হাত থেকে মুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর। আমাদের এ সকল দাবি কেবলমাত্র কোনো বিশেষ ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে নয়, বরং আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বুয়েটের সংবিধান অনুযায়ী সকল রকম ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করছি।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে করে শিক্ষার্থীরা তাঁদের ছয় দফা দাবি পেশ করেন।
দাবিগুলো হলো ‘আজ (শনিবার) বেলা ২টার মধ্যে ইমতিয়াজ রাব্বিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে; ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে বুয়েটের অন্য যে সকল শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল তাদের একাংশের নাম-পরিচয় আমরা ছবি এবং ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে চিহ্নিত করেছি। তারা হলো এ এস এম আনাস ফেরদৌস, মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম ইমন এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদিন রিফাত।