বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশি হামলায় সিনিয়র সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়া নিহত হয়েছেন অভিযোগ করে এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন বিএনপিপন্থী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নেতারা।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র সহকর্মী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য রফিক ভূঁইয়া পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশি হামলায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এ দেশের জনগণের পয়সায় লালিত পুলিশ বাহিনীর টিয়ার গ্যাসে রফিক ভূঁইয়া নিহত হয়েছে। বিএনপির মহাসমাবেশে কীভাবে সাধারণ মানুষসহ সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে আপনারা দেখেছেন। রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যুর খবরও গোপন করা হয়েছে। গতকাল রফিক ভূঁইয়া আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, আজকে সকালে মারা গেছেন। এই মৃত্যুর বিচার চাই।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যুসহ মহাসমাবেশে ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন যে আন্দোলন গড়ে তুলেছে, তা অব্যাহত থাকবে। এ সরকারের আমলে ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছে অসংখ্য সাংবাদিক। মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নিহত ও আহত সাংবাদিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এ সময় ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম বলেন, ‘যাদের মদদে সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মৃত্যু হয়েছে, তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি। মহাসমাবেশের আগে সেগুনবাগিচার যুবলীগের এক নেতার মাধ্যমে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাংবাদিক নেতারা। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড় হয়ে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর মাদারটেকের বাসা থেকে রিকশায় জাতীয় প্রেসক্লাবে যাওয়ার সময় সেগুনবাগিচা এলাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পুরোনো ভবনের কাছে পুলিশের টিয়ার গ্যাসের কবলে পড়ে রিকশা উল্টে ছিটকে পড়েন তিনি। পরে বারডেম হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জানান, মাথায় মারাত্মক আঘাতে ভেতরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। আজ তাঁর মৃত্যু হয়।
রফিক ভূঁইয়া সাংবাদিকতা শুরু করেন চট্টগ্রাম থেকে। সেখানে দৈনিক সমাচারের প্রতিনিধি ছিলেন। এরপর ঢাকায় এসেও বিভিন্ন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন। নিজেও একাধিক সংবাদপত্র প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিন কানাডায় থাকাকালে সেখানেও সংবাদপত্র প্রকাশ করেন।