গ্রামীণ টেলিকমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার পর ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে, মামলা বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৪-এ স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ২ মে দিন ধার্য করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজল।
ড. ইউনূস ছাড়াও এই মামলায় হাজিরা দিয়েছেন-গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম, পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
তবে গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক মো. শাহজাহানের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। তিনি অসুস্থ হয়ে ঢাকার গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি বলে আইনজীবী সময়ের আবেদনে উল্লেখ করেন।
এই মামলায় দুদক আদালতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে গত ৩০ জানুয়ারি।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে তহবিল থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা লোপাটের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির সঙ্গে তদন্তে পাওয়া নতুন আরও একজনের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গত ৩ মার্চ ড. ইউনূসসহ আটজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। পরবর্তী সময়ে অন্য আসামিরাও আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।