রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে অটোরিকশা আটক করায় ট্রাফিক পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওপর ৫-৬ জন হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁরা বলতে থাকে–‘আমরা মুরগি সোহেলের লোক। তোরা সবুজ ভাই ও কামাল ভাইয়ের রিকশা কোন সাহসে আটক করেছিস। ভবিষ্যতে অটোরিকশা আটক করলে তোদের একজনকেও জ্যান্ত রাখব না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের কল্যাণ সমিতির সামনে এ হামলা হয়। এতে রুবেল মিয়া নামের এক আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় করা মামলার বাদী ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহমুদুল হাসান আহত রুবেলের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সার্জেন্ট মাহমুদুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশার ওপর আমরা অভিযান পরিচালনা করছিলাম। এ সময় দুর্বৃত্তরা লাঠি-সোঁটা ও লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাঁরা আনসার সদস্য রুবেলের বাম হাত ভেঙে ফেলে এবং কাঁধের হাড় সরিয়ে ফেলে। পরে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
উত্তরা পশ্চিম থানায় করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বেপরোয়া গতিতে চলা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এ জন্য ১২ নম্বর সেক্টরে ট্রাফিক–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তুরাগ থেকে আগত অটোরিকশা প্রবেশ নিষেধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে উত্তরা পশ্চিম জোনের ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আবু হাজ্জাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বই মেলায় ডিউটি ছিলাম। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছে।’
অপরদিকে উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইয়াসিন গাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রাফিকের আনসার সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হামলার আলামত জব্দ করা হয়েছে। আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। তবে এখন পর্যন্ত হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’