রাজধানীর নাখালপাড়া রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় জুনায়েদ বুগদাদী (১২) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে নাখালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সোয়া ১১টার দিকে মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, মৃত জুনায়েদ চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ছোট হলদিয়া গ্রামের আতাউর রহমান জুয়েলের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে তেজগাঁও পূর্ব নাখালপাড়ার থাকত। বাবা জুয়েল একজন কাপড় ব্যবসায়ী। মা হাজেরা আক্তার জোনাকি গৃহিণী। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে বড় ছিল জুনায়েদ।
হাসপাতালে জুনায়েদের বাবা আতাউর রহমান জুয়েল বলেন, ‘নাখালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত জুনায়েদ। সকাল সোয়া ৯টার দিকে সে বাসা থেকে একাই স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়। এর কিছুক্ষণ পরই খবর পাই ট্রেনের ধাক্কায় জুনায়েদ আহত হয়েছে। পথচারীরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছে জুনায়েদ এবং আমার মোবাইল নম্বর দিয়েছে। চিকিৎসক আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে জুনায়েদের অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। পরে আয়েশা মেমোরিয়ালে গিয়ে জুনায়েদকে আহত অবস্থায় পাই।’
জুয়েল আরও বলেন, জুনায়েদের অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জুয়েল জানান, স্থানীয়দের কাছে শুনতে পেরেছি, ট্রেন আসার সময় একটি ছেলে রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটছিল। তখন জুনায়েদ তাকে টান দিয়ে সরিয়ে দেয়। তখনই ওই ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয় জুনায়েদ।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ট্রেনের ধাক্কায় আহত জুনায়েদ নামের ওই ছাত্রকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি রেলওয়ে থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস জানান, ট্রেনের ধাক্কায় এক শিশু মারা গেছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হয়েছে।