রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর নবীনগর এলাকায় সড়ক থেকে হিমু ওরফে কালু (১৭) নামের এক কিশোরের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৬টার দিকে দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী নবীনগর রোডের মেডিবাংলা হাসপাতালের পাশের গলি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত হিমুর খালাতো বোনের স্বামী হাসান খান জানান, হিমু যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীরবাগ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত। তার বাবা মিন্টু মিয়া। পেশায় বেকার ছিল হিমু। সে মাদকাসক্ত ছিল, বেশ কয়েকবার রিহ্যাবে নেওয়া হয়েছিল তাকে।
হাসান খান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয় হিমু। এরপর রাত ২টার দিকে বাসায় ফেরে। তবে এত রাতে বাসায় ফেরায় তার মা রেখা বেগম রাগ করে দরজা খোলেননি। এরপর সকালে সংবাদ পাই, নবীনগর রোডে কে বা কারা হিমুকে খুন করে ফেলে রেখেছে।’
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বলেন, ‘সকালে ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পাই, নবীনগর রোডের মেডিবাংলা হাসপাতালের একটি গলিতে একটি রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। দ্রুত সেখানে গিয়ে ওই কিশোরের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
এসআই আরও বলেন, ওই কিশোরের মাথাসহ শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত রয়েছে। পরিবার থেকে জানা যায়, সে মাদকাসক্ত ছিল। রিহ্যাবে ভর্তিও ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মাদকাসক্ত অন্য কেউ তাকে খুন করেছে। তবে ঘটনাস্থলে একটি সিসি ক্যামেরা ছিল, যেটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।