রাজধানীর খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় কবিতা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্বজনেরা। আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রী মেরাদিয়া বাজার এলাকার বাসায় এই ঘটনাটি ঘটে।
পরে কবিতা আক্তারের স্বামী ও স্বজনেরা ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক দুপুর আড়াইটার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
কবিতার স্বামী মো. সোহাগ মিয়া জানান, তাঁরা খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রী মেরাদিয়া বাজারের একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় থাকেন। তিনি ওই বাড়ির দারোয়ানের কাজ করেন। তাঁদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরে। কবিতার বাবার নাম সিরাজুল ইসলাম।
সোহাগ বলেন, ছয় মাস আগে গ্রামে নিজে পছন্দ করে বিয়ে করি কবিতাকে। বিয়ের পর থেকে দক্ষিণ বনশ্রীর ওই বাসায় থাকি। গত এক মাস ধরে কবিতা শারীরিকভাবে অসুস্থ। গতকাল মুগদা হাসপাতালে কবিতাকে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার কবিতাকে ডেঙ্গু পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা না করিয়ে কবিতাকে কবিরাজের কাছে নিয়ে যাই। কবিরাজ তাবিজ নেওয়ার পরামর্শ দেয়। আজ দুপুরে কবিতার জন্য বাজারে ডাব কিনতে যাই। বাসায় ফিরে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। জানালা দিয়ে দরজা খুলে দেখি কবিতা ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। পরে দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে কবিতা কী কারণে গলায় ফাঁস দিয়েছে এ বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তাঁর স্বজনেরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ওই গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।