প্রেম করে মাত্র তিন মাস আগে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়ি থাকা অবস্থায় আরেক ছেলের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূর। পরে কথিত সেই প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা দেন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এই ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারের পর সেই গৃহবধূ পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বামীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম নাঈম হোসেন (২০)। তিনি ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চর ডাকাইতাবান্দা এলাকা থেকে নাঈমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ (২২) ও গৃহবধূ রেশমি খাতুনকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাসুদ উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের চরভরুয়া গ্রামের বাসিন্দা। রেশমি খাতুন একই ইউনিয়নের রামাইল গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, নাঈম ও রেশমি প্রায় তিন মাস আগে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রী রেশমিকে নিয়ে নাঈম রামাইলে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। বিকেলে নাঈমকে নিয়ে ঘুরতে বের হন রেশমি। এরপর রাতে রেশমি বাড়ি ফিরে জানান তাঁর স্বামী চলে গেছেন। এর পর থেকে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। বেড়ানোর কথা বলে স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায়। পরে লাশ গুম করার জন্য মাটিচাপা দেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ওই গৃহবধূ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়।