ঢাকার কেরানীগঞ্জে পানগাঁও আইসিটি পোর্টে শুল্ক জটিলতায় ৪ দিন ধরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। পানগাঁও শুল্ক ভবনে আমদানিকৃত পণ্য চালানের জন্য আইজিএম সংশোধন ও মূল্যায়ন বিধিমালা ২০০০ বাস্তবায়নের দাবিতে গত রোববার থেকে ৪ দিন যাবৎ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। শুল্ক জটিলতার কারণে এ বন্দরের কাস্টম হাউসে কর্মবিরতি পালন করছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
ঢাকা কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল বাশার বলেন, পানগাঁও আইসিটি পোর্ট চালু করার জন্য সরকার বিভিন্নভাবে ভর্তুকি দিচ্ছে। বন্দর চার্জের ওপর ৭০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। অথচ কাস্টম হাউসের স্বেচ্ছাচারিতায় এ বন্দরটি প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না। আইজিএম সংশোধন ও মূল্যায়ন বিধিমালা ২০০০ প্রজ্ঞাপনের ৫ নম্বর ধারার ৪ নম্বর উপধারায় উল্লেখ রয়েছে-এই বিধির অধীনে অভিন্ন পণ্যের একাধিক বিনিময় মূল্য পাওয়া গেলে উহাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা কম বিনিময় মূল্যের ভিত্তিতে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
অথচ পানগাঁও কাস্টম হাউসের কমিশনার এই বিধিমালা মানতে অনীহা প্রকাশ করছে। তিনি সর্বাপেক্ষা বেশি মূল্য নির্ধারণ করছেন। এতে একই পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে অন্য বন্দরে অনেক কম খরচ হয়। ফলে আমদানিকারকেরা এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জামাল মাহমুদ বলেন, কেরানীগঞ্জ এলাকাতেই আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। এরপরও আমি চট্টগ্রাম বন্দরে মাল খালাস করি। এ বন্দরে মাল খালাসে হয়রানি ও খরচ দুটোই বেশি। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরে মাল খালাস করলে ১৫ দিন আগে হাতে মাল পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার পানগাঁও কাস্টম হাউস কমিশনার শওকাত হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।