হোম > সারা দেশ > ঢাকা

আবরার স্মরণসভা পণ্ড করার পর ঢামেকেও শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

ঢামেক প্রতিনিধি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বিকেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ’ ব্যানারে আয়োজিত এই স্মরণসভা কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। 

হামলায় আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এলে সেখানেও হামলার করা হয়। 

আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্মরণসভায় হামলা চালায়। এ সময় মঞ্চের সামনে রাখা প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর এবং স্মরণসভায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় চালায়। 

ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. সানাউল্লাহ অভিযোগ করে জানান, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করছিলেন। সেখান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সংগঠনের অন্তত ১৫ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

হামলায় আহতরা হলেন—ছাত্র অধিকার পরিষদের হাসিব, আকরাম, জাহিদ, হাসান, মামুন, কাউসার, শাকিল, মিজান, রাকিব, রাসেল, তরিকুল, ইউসুফ, বিন ইয়ামিন। আর রিকশাচালক মো. কবির হোসেন। 

ছাত্রলীগেরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নেতারা। ছাত্রলীগ দাবি করেছে, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হামলায় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দীন ও বরিকুল ইসলাম বাঁধন, উপ আইন সম্পাদক শেখ সুজন, উপ সম্পাদক ফয়সাল আমিন তামিম, কর্মী আমিনুল ইসলাম এবং টিএসসি এলাকার পথশিশু সাকিল আহত হয়েছে।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজসেবা উপসম্পাদক তানভির হাসান সৈকত বলেন, ‘ছাত্রলীগ নয়, বরং তারাই ছাত্রলীগের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের সেখানে কর্মসূচি করার কোনো পূর্ব ঘোষণা ছিল না। আর তাদের বলা হয়েছিল আবরার হত্যা মামলা যেহেতু বিচার হয়েছে, সুতরাং এটি নিয়ে ঢাবিতে কর্মসূচি করার প্রয়োজন নাই। প্রয়োজন হলে বুয়েটে গিয়ে যেন তারা এই মানববন্ধন করে। এসব বলার কারণেই তারা ছাত্রলীগের ওপর হামলা করে।’ 

ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তারা ক্যাম্পাসে বহিরাগত, মৌলবাদীদের নিয়ে কর্মসূচি পালন করে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করতে আসি তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কি না। এ সময় তারা কিছু না দেখিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিরোধ করে।’

এদিকে আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও হামলার ঘটনা ঘটে। ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ছাত্র অধিকার পরিষদের এক নেতা সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা কয়েক দফায় তাঁদের ওপর হামলা করে। 

এ ছাড়া পুলিশ ছাত্র অধিকারের প্রায় ১০ জনকে আটক করে গাড়িতে তোলার সময়ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁদের মারধর করে।

ডেইলি স্টারে লুটপাট-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা

ঢামেকে তরুণীর লাশ ফেলে পালালেন ‘স্বামী’

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় স্ত্রীর কারাদণ্ড

বড়দিন উপলক্ষ ২১টি গির্জায় আর্থিক প্রণোদনা দিল ডিএনসিসি

৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার শেষ করার দাবি

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ঢাবি শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

রাজনীতিতে পরস্পরের বিরুদ্ধে গালাগালিতে শত্রুরা উপকৃত হয়: ড. মাহবুব উল্লাহ

প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ১৫ জন কারাগারে

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, আটক ১

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে