ঢাকা: পুনর্বাসন ছাড়া কোনোভাবেই ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করা যাবে না। আজ রোববার অটোরিকশা ও ভ্যান বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল ও এই যানকে পরিবহন খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশে এ দাবি জানায় ঢাকা মহানগরের অটোরিকশা ভ্যান শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন।
সমাবেশে সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষের রুটি-রুজির একমাত্র উৎস হচ্ছে এই ব্যাটারিচালিত রিকশা। তাঁদের কাজের অন্য কোনো উৎস নেই। প্রয়োজনে রাস্তায় আলাদা লেন করে দেওয়া হোক। কিন্তু কোনোভাবেই রিকশা বন্ধ করা যাবে না।
বাংলাদেশ কর্মচারী ফেডারেশনের নগর সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, শহরে অনেক প্রতিবন্ধী রিকশাচালক আছেন। এই অটোরিকশার মাধ্যমেই তাঁরা জীবিকা অর্জনের পথ খুঁজে পেয়েছেন। তাঁদের বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে এই রিকশা। বিকল্প ব্যবস্থা এই রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারের হঠকারিতা ছাড়া আর কিছু না।
সমাবেশে বক্তারা রিকশা বন্ধ না করে অবিলম্বে পরিবেশবান্ধব এ বাহনকে পরিবহনের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাসদু রানা। তিনি বলেন, এই শহরে রিকশার চাকা চললে চালকদের পরিবারের পেট চলে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে অনেক বড় ভূমিকা আছে এই চালকদের। ঢাকা শহরে ১১ লাখ রিকশাচালকের আয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল থাকে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের যানজটের মূল কারণ হচ্ছে প্রাইভেট কার। তাই যানজট নিরসনে রিকশা নয়; বরং প্রাইভেট কার বন্ধ করা হোক।
আয়োজিত এ সমাবেশে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় মহানগর নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার রিকশাচালকেরা অংশ নেন।