অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সংবিধানকে এমনভাবে অগণতান্ত্রিক করা হয়েছে যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই এখন জবাবদিহি নেই। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্রচিন্তা ও গণপরিষদ আন্দোলনের উদ্যোগে বিদ্যমান সাংবিধানিক সংকট নিরসনে গণতান্ত্রিক শক্তির করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আনু মুহাম্মদ বলেন, সামরিক শাসকেরা তাঁদের মতো করে সংবিধানকে কাটা–ছেঁড়া করে নিয়েছেন। এই সরকারও তাদের মতো করে সংবিধানকে অগণতান্ত্রিক শাসনের উপযোগী করে নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে জনগণকেই জেগে উঠতে হবে। তাঁদের সচেতন হতে হবে।
শিক্ষক ও সাংবাদিকদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আনু মুহাম্মদ বলেন, এখন তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা, সাংবাদিকেরা বিবৃতি দিয়ে সরকারকে আরও নিপীড়নমূলক হতে উৎসাহ দিচ্ছেন। সুতরাং অগণতান্ত্রিক প্রবণতা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে সেটা এসব ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ ও সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের সঠিক রিপোর্ট আসবে না। বরং সেখানকার ছোট ব্যবসায়ীদের বুকের ওপর হাইরাইজড বিল্ডিং হবে। তাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হবে। ১১টি কোম্পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ৬০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। এই লুটপাটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য আইন করে তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সরকারই এই দায়মুক্তি দিয়েছে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক নঈম জাহাঙ্গীরসহ অন্যরা।