দেশজুড়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল চলছে। তবে এর মধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলতে দেখা গেছে।
রাজধানীর ধানমন্ডি, রামপুরাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হিসেবে সড়কে সকাল ৮টার আগে গণপরিবহন ও কর্মমুখী মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। সাতমসজিদ সড়কে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, লেগুনা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল দেখা গেছে। সকাল ৭টা থেকে ধানমন্ডির সড়কে রমজান পরিবহনের কয়েকটি বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ৭টা ৪০-এর পর থেকে যাত্রাবাড়ীগামী মালঞ্চ ও মোহাম্মদপুর থেকে আজিমপুরগামী ১৩ নম্বর বাস, মিডলাইন পরিবহনের বাস চলাচল করতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ধানমন্ডি ১৫ নম্বর বাস স্ট্যান্ডে বেশ কয়েকজন যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। সবার মনেই চাপা আতঙ্ক। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। কাজের জন্য পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতে যাবেন তিনি। কিন্তু বাস কম থাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছিল তাঁকে। কামাল হোসেন বলেন, ‘কাজ আছে, যেতেই হবে। দীর্ঘদিন পরে হরতাল হচ্ছে, তাই ভয় লাগছে। কিন্তু জীবন ও জীবিকার তাগিদ বলে তো একটা কথা আছে, তাই না?’
সকাল ৭টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত এই এলাকার দু-একটি খাবারের দোকান বাদে আর তেমন কোনো দোকানপাট খুলতে দেখা যায়নি। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গণপরিবহন, ব্যক্তিগত গাড়ি তেমন নেই।