রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাখিলা আক্তার পাখি (১৮) নামে এক তরুণীর মরদেহ রেখে পালিয়েছেন স্বজনেরা।
আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পাখি উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের তেলিগাতী গ্রামের কালাম মিয়া ওরফে কালুর মেয়ে।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সুজাউদ্দিন সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মৃত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক নারী। মেয়েটির চাচি হয় বলে পরিচয় দেন ওই নারী। মেয়েটি মৃত শোনার পর আর দেখা যায়নি। পরে থানা-পুলিশকে খবর দেন।’
মেয়েটির মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব নয়। তবে মেয়েটির ঘাড়ের পেছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।’
সরেজমিনে গেলে নিহেতের পরিবারের কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। স্থানীয়রা জানান, তারা শুনেছেন পাখির বাবা পাখিকে মেরেছেন। তাঁরা কেউ দেখেননি। তবে কেন মেরেছেন, তা জানেন না তাঁরা।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন মজুমদার বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনের জন্য নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’