জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফর্টিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে কমিশনের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিরসন ও মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া প্রত্যাবাসন। দ্রুত নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ জোর দিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো উচিত।
সাক্ষাতকালে রোহিঙ্গা সংকটের বহুমাত্রিক দিক উপস্থাপন করেন কমিশনের চেয়ারম্যান। আলাপকালে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বর্বরোচিত আক্রমণ, সহিংসতা ও গণহত্যার শিকার হয়ে নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছে। বৃহৎ পরিসরে হত্যা, যৌন নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ছে তাঁরা। সহিংসতার ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক প্রভাব এখনো রয়েছে। তাদের অধিকার সুরক্ষা করে ফিরিয়ে দেওয়াই আমাদের কাজ।’
সাক্ষাতকালে জন কুইনলি ‘মাই টিয়ার্স কুড মেক এ সি-দ্যা ইনফ্লিকশন অব মেন্টাল হার্ম এজ জেনোসাইড এগেইন্সট রোহিঙ্গা ‘My Tears Could Make a sea-The Infliction of Mental Harm as Genocide Against Rohinga’ শীর্ষক একটি প্রকাশনা উপহার দেন এবং সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রকাশনাটিতে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ রয়েছে। প্রকাশনাটি মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটস এবং ইয়েল ল কলেজের ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটিস ক্লিনিক যৌথভাবে প্রকাশ করেছে। বইটিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুপারিশ রয়েছে এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষণা এবং তথ্য সংগ্রহে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বইটি।