মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার হরগজ হাটে কোরবানির পশু কালাপাহাড়কে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারি আব্দুর রহমান। হাটে ছোট গরুগুলো বেশি বিক্রি হলেও বড় গরুর ক্রেতা কম। এ কারণে নিজের বড় গরু কালাপাহাড়ের বিক্রি নিয়ে সন্দিহান খামারি আব্দুর রহমান। কালাপাহাড় বিক্রি না হলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন বলেও জানান তিনি।
আব্দুর রহমান জানান, কালাপাহাড়কে লালনপালনে তাঁর সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই বছর বিক্রি না হলে তাঁর আরও ৭ লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু ওই টাকা খরচ করার মতো সামর্থ্য তাঁর নেই, তাই ২ লাখ টাকা ক্ষতিতে ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান কালাপাহাড়কে। এ জন্য কোরবানির পশুর ব্যবসায়ী কিংবা ক্রেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
হাট কমিটির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সময়ে হাটে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার কোরবানির পশু বিক্রি হয়। আজকের হাটে মাত্র শ খানেক ছোট পশু বিক্রি হয়েছে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে হাটে আনা সবচেয়ে বড় গরু কালাপাহাড়ের ক্রেতা নেই। এই কালাপাহাড় বিক্রি না হলে লোকসানে পড়বেন খামারি।
কুষ্টিয়ার গরু ব্যবসায়ী শুকুর বলেন, ‘তিনটি কোরবানির পশু নিয়ে গতকাল রাতে হরগজ হাটে এসেছি। ওই তিনটি পশু কিনেছি সাড়ে ৩ লাখ টাকা দিয়ে। আর এ হাটে দাম উঠেছে ২ লাখ টাকা।’ তিনি বলেন, গরুর আসল দামের চেয়ে ক্রেতারা অর্ধেক দাম বলছেন।’
একই ধরনের দাবি করেছেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাটে আসা গরু-ছাগল ব্যবসায়ীরা।