গাজীপুরের শ্রীপুরে ক্যানসার-আক্রান্ত পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ সহকারী শামসুন নাহার শাহীনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বেতনভাতা পরিশোধ করেছেন ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামে শামসুন নাহার শাহীনের বাড়িতে গিয়ে পাওনা পরিশোধ করেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ সহকারী শামসুন নাহার শাহীনের অনুমোদিত বেতনভাতার ৩ লাখ ১১ হাজার টাকা আটকে দেন ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন।
এ বিষয়ে গত ১০ মার্চ আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় বেতনভাতা আটকা, ক্যানসার আক্রান্ত স্বাস্থ্য সহকারীর চিকিৎসা বন্ধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুরের ডিসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে আজ শামসুন নাহার শাহীনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সমস্ত বেতনভাতা বুঝিয়ে দেন ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন।
ভুক্তভোগী শামসুন নাহার শাহীন বলেন, ‘আমি কয়েক বছর যাবৎ বকেয়া বেতনভাতার জন্য অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন স্যারের অফিসে গেছি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। আজ দুপুরে জামাল স্যার বকেয়া বেতনভাতার সমস্ত চেক নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বুঝিয়ে দেন। সেই সঙ্গে ক্ষমা চান।’
শাহীন আরও বলেন, ‘আজকের পত্রিকার অনলাইনে এ বিষয়ক খবর প্রকাশ না পেলে আমি আমার পাওনা পেতাম না।’ তাই আজকের পত্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
অভিযুক্ত পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আমি বেতনভাতার চেক দিতে তাঁর বাড়িতে এসেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়দের সামনে তাঁর সমস্ত বেতনভাতার চেক বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এ ছাড়া এ প্রতিবেদকের কাছেও ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে ভালো একটি সংবাদ। আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলেই বিষয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’