নয় বছরের মেয়ে ইমুনা। গৃহকর্মী হিসেবে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর এক বাসায় কাজ করতেন। এক বছরের মাথায় কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ হারিয়ে যায় ইমুনা। বাসার মালিক কাজি সাইদুর রহমান মহাবিপদে পড়েন। মেয়ের মা শেফালী সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের মামলা করেন। ৩ বছর পর সেই মামলার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল বুধবার পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মেয়ে ইমুনাকে লুকিয়ে রেখে মা গৃহকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেন। এমনকি বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি দিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পিবিআই মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পর তদন্তের এসব তথ্য বের হয়ে আসে।
ভুক্তভোগি কাজি সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, মুহসীন নামক তার আত্মীয় মেয়েটিকে দিয়ে যায়। এটি একটি চক্র। এর সঙ্গে মুহসীনও জড়িত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, গৃহকর্মী নিয়োগ দেওয়ার আগে তাঁর বিস্তারিত নাম–ঠিকানা স্থানীয় থানায় জমা দিলে এমন বিপদ থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাবে।