রাজধানীর উত্তরায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও যানজট নিরসনে রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার উত্তরার বিভিন্ন সড়ক, সেক্টর ও উত্তরখান, দক্ষিণখান ও তুরাগ এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন অলিগলি, পাড়া-মহল্লা, মহাসড়কে উল্লাস ও বিজয় মিছিল বের করে বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। এতে পিছিয়ে ছিল না সাধারণ মানুষও। শুধু বিজয় মিছিলে সীমাবদ্ধ নয়, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও তুরাগের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা, উত্তরা বিভিন্ন সেক্টরে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে।
সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা হাউজবিল্ডিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থী মোড়ের চারপাশে অবস্থান নিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করে গাড়ি সিগন্যাল দিতে দেখা যায়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কর্মীরাও যোগ দেন। পার্শ্ববর্তী বিএনএস সেন্টার এলাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়।
তাঁরা জানান, `দেশের পরিস্থিত স্বাভাবিক করতে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে, ভোগান্তি কমাতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার জন্য আমরা গ্রুপে গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পালা বদল করে কাজ করে যাচ্ছি।'
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে আমরা হাউজবিল্ডিং এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমার মতো আইইউবিএটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, মাইলস্টোন কলেজ, ঢাকা পলিটেকনিকসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত যানজট থাকবে. ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তায় থাকব।’
শুধু উত্তরার হাউজবিল্ডিং-বিএনএস সেন্টার নয়, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী, জসিমউদ্দিন এলাকাতেও যানজট নিরসনে কাজ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিমানবন্দর এলাকায় সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র তারেক আব্দুল্লাহ মিরাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের একটা গ্রুপ ছিল তারা দুপুর পর্যন্ত যানজট নিরসনে কাজ করেছে। দুপুরের পর থেকে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। এখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।’
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর জমজম টাওয়ার এলাকায় একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে। এ ছাড়া ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় প্রবেশের মূল গেট লাগিয়ে ভেতরে অবস্থান করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
সেখানে থাকা মো. আমিন নামের এক ছাত্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানায় যেন কেউ ঢুকে আর লুটপাট না করতে পারে, আর কোনো ক্ষতি যেন না করতে পারে, তার জন্যই আমরা থানায় অবস্থান নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী এসে দেখে গিয়েছিল। আবারও আসবে বলে গেছে। সেনাবাহিনী আসলে তাদের বুঝিয়ে দিয়ে আমরা চলে যাব।’