রাজধানীর রাস্তায় আজ শনিবার সকালে বেসরকারি বাসের দেখা মেলেনি। এদিকে বেসরকারি বাস না পেয়ে ভিড় বেড়েছে বিআরটিসি বাসের কাউন্টারে। সেখানে টিকিট কিনতে লেগেছে হুড়োহুড়ি।
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে শনিবার সকাল ৮টার দিকে বিআরটিসির টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সবাই ব্যস্ত নিজেদের টিকিট নিশ্চিত করতে। কেউ যাচ্ছেন অফিসে, কেউবা কলেজে, আবার কেউ পরীক্ষা দিতে। যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় ওই বাস স্ট্যান্ডে থাকা ৩৭টি বাসের মধ্যে ৩৫টিই ছেড়ে যেতে দেখা যায় কম সময়ের মধ্যে।
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের ট্রাফিক ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে এমনিতেই চাপ বেশি থাকে। কিন্তু প্রথম কয়েকটা ট্রিপে বাসের সিট কিছুটা ফাঁকা থাকে। আজকে সব বাসই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে স্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে গেছে। যাত্রীর চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি।’
টিকিট কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা অতুল জানালেন তিনি মতিঝিলে যাবেন। অতুল বললেন, ‘৭টায় বের হয়েছি বাসা থেকে। ৯টা ৪৫-এ অফিস। এখানে এসেও দুইটা বাস মিস করেছি। মাত্রই টিকিট পেলাম, এখন অফিসের দিকে রওনা দেব। জানি না অফিসে সময়মতো পৌঁছাতে পারব কি না।’
এদিকে সাত কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা আজ। পরীক্ষার আগে রাজ্যের ভয় আর সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারার অনিশ্চয়তা নিয়ে দ্রুত হাঁটতে থাকা রাতুল জানালেন, ‘পরীক্ষার আগে এমনিতেই পরীক্ষার একটা ভয় থাকে। তার ওপর গাড়ি না পাওয়ার এই দুশ্চিন্তা। লেখাপড়া নিয়েই গত দেড় বছর ধরে অনিশ্চয়তার একটা সময় পার করছি আমরা।’
এদিকে এফডিসি, গুলশান, পুলিশ প্লাজা ও রামপুরা থেকে চক্রাকার বাসগুলোও গতকাল থেকে চলতে দেখা যায়নি। সেই যাত্রীর চাপ গিয়ে পড়েছে ওয়াটার ট্যাক্সিগুলোর ওপরে। সেখানকার টিকিট কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেল যাত্রীদের ভিড়। অনেকেই টিকিট না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছে।
রামপুরার ওয়াটার ট্যাক্সি কাউন্টারের মাস্টার জান্নাত বলেন, ভোর ছয়টা থেকে কাউন্টার চালু হয়। সাধারণত ৮টা থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। আজ চাপটা অনেক বেশি। শুক্রবারে অনেকেই আসেন হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে ঘুরতে। গতকাল এই ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছিল সাধারণ পেশাজীবীদের ভিড়।