কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে আজও ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে মানুষ। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুটে বিআইডব্লিউটিসির ঘোষণা উপেক্ষা করে চতুর্থ দিনে ঘরমুখো মানুষ পদ্মা পার হচ্ছে। আজ সোমবার এই নৌরুটে গতকালের চেয়ে চাপ কিছুটা কম দেখা গেছে।
এদিকে সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে উভয়মুখী ফেরিতে করোনা সংক্রমণঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি ও যাত্রীদের পদ্মা পার হতে দেখা গেছে। পুলিশের চেকপোস্ট, ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যাত্রীদের ফেরিঘাটে আসতে দেখা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ট্রাক, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানে চড়ে, হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে আসছে।
সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, সকাল থেকে মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে ট্রাফিক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা গেছে। দ্বিতীয় দফা লকডাউনের চতুর্থ দিনে সোমবার শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষ ফেরিতে পদ্মা পার হওয়ার জন্য ভিড় করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসির) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সকাল থেকে ১১টি ফেরি চলছে। সকালের দিকে ফেরিতে যাত্রীর চাপ ছিল। এখন যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা কম।
এদিকে লৌহজং থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেইন জানান, সরকারি নির্দেশনা মতে, মাওয়া ও শিমুলিয়া মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শুধু অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী গাড়ি ও জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছে।