শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের সংযোগ সড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের নাওডোবা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল হক মোল্লা (৬০) কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার ছাগাইয়া গ্ৰামের তোতা মিয়ার (মৃত) ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, আজ কিশোরগঞ্জ আগানগর ইউনিয়নের ৮০ জন বাসিন্দা সাতটি মাইক্রোবাস নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে আসেন। সকালে সেতু পার হয়ে তাঁরা ভাঙ্গা যান। পরে ভাঙ্গা থেকে এলাকায় যাওয়ার পথে পদ্মা সেতুর জাজিরা অংশের সংযোগ সড়কে পৌঁছালে কুয়াকাটা থেকে আসা নিউ অন্তরা ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৮৯৫৮) পেছন থেকে মাইক্রোবাসে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি উল্টে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের নিচে চাপা পড়ে আব্দুল হক মারা যান, আহত হন অন্তত ১৩ জন।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশ, পদ্মা দক্ষিণ থানা-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুর্ঘটনার পরপরই হতাহতদের উদ্ধার করেন। আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নাওডোবা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
মাইক্রোবাসের আরোহী আহত আবু তাহের শিকদার আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে সকালে পরিবার পরিজন ও এলাকার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছিলাম। সেতু দেখা শেষে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় পেছন থেকে আমাদের মাইক্রোবাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি বাস। এতে মাইক্রোবাস উল্টে আমাদের মুরুব্বি আব্দুল হক মোল্লা মারা যায়। এ সময় মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা আমিসহ আরও ১৩ জন আহত হই।’
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিহত আব্দুল হক মোল্লা মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। বাস ধাক্কা দিলে তিনি মাইক্রোবাসের নিচে চাপা পড়ে মারা যান। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’