পাটুরিয়া ফেরিঘাটের অদূরে ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা ডুবিতে ফেরিটির দ্বিতীয় মাস্টার হুমায়ুন কবির এখনো নিখোঁজ। তিনি মোবাইল ফোন আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া–দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় রিয়াজ উদ্দীন মেম্বার বলেন, ‘আমার ছেলে ঘাটে দোকান করে। সকালে মেলা ঠান্ডা, শুনি ফেরি ডুবছে। কয়েকজনকে নিয়ে আসলো, সেখানের একজন ফেরির স্টাফ হুমায়ুনকে মোবাইল ফোন নিতে নিচে নামতে যেতে দেখেছেন। তিনি নিচে গেছেন, আর ফেরিটি ডুবে গেছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী এক ফেরির কর্মচারী ও ফেরি সেক্টরের ম্যানেজার সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে থাকা সবাই আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন। ফেরিটি যখন ডুবছিল তখন হয়তো কোনো কিছুর ধাক্কায় নিচে পড়ে ফেরির মধ্যে আটকে আছেন হুমায়ুন কবির। তাঁর বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর এলাকায়।
এ দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার জানিয়েছেন, এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।’