কথিত হিজরতে বের হওয়া তিন তরুণ ও এক কিশোর আত্মসমর্পণ করেছেন। জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁরা পাহাড়ে সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নেন। কিছুদিন পর ভুল বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করে ধরা পড়েন। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায়ও ব্যর্থ হন। দুবারই চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাঁদের। তবে গত মার্চে কয়েকজন পালাতে সমর্থ হন। তাঁদেরই চারজন গত মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণ করা চারজনের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছে। বাকি তিনজন হলেন সিলেটের ওসমানীনগরের মো. হাসান সাইদ ও শেখ আহমেদ মামুন এবং মাদারীপুরের মো. ইয়াছিন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে গতকাল বুধবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত বছরের ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর থেকে আট তরুণ নিখোঁজ হন। তাঁদের পরিবার কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তদন্ত করতে গিয়ে র্যাব ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামের একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের তথ্য পায়।
র্যাব জানতে পারে, এই সংগঠনের সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফের’ সহায়তায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পরে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ ৭৮ জন এবং ‘কেএনএফের’ ১৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আত্মসমর্পণকারীদের বিষয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। তাঁদের ফিরে আসার বিষয়টি আদালত নিশ্চয়ই বিবেচনা করবেন। এ ক্ষেত্রে র্যাবের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। তবে এখনো নিখোঁজ সাত তরুণকে খুঁজছে র্যাব।