চাকরির প্রথম দিনে পারিশ্রমিক না দেওয়াকে কেন্দ্র করে যাত্রীবাহী ইকোনো সার্ভিস বাসের সুপারভাইজার রিয়াদ হোসেন ওরফে লিটনকে (৩৭) খুন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ৯ দিনের মাথায় অভিযুক্ত হেলপার (বাসচালকের সহকারী) ইউসুফ ভূঁইয়া (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সংস্থাটি বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গত শনিবার নরসিংদীর মাধবদী এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৯ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর সদরের ঝুমুর মোড়ে ইকোনো সার্ভিস বাস থেকে রিয়াদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রিয়াদের স্ত্রী হালিমা আক্তার লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে আজ রোববার সিআইডির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘রিয়াদ বেকার ছিলেন। বাসটির আগের সুপারভাইজার শিপন ছুটিতে যাবেন বলে তাঁর জায়গায় রিয়াদকে নেওয়া হয়। ঘটনার দিন বিকেলেই রিয়াদ ইকোনো সার্ভিস বাসে সুপারভাইজার হিসেবে কাজে যোগ দেন। এ জন্য তিনি ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরে যান।’
মুক্তা ধর বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরে যাওয়ার পর বাসের সুপারভাইজার হিসেবে কাজের জন্য রিয়াদ দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি চান।’ তখন বাসের চালক নাহিদ ও তাঁর সহকারী ইউসুফ বলেন, ‘প্রথম দিন কোনো মজুরি দেওয়া হয় না। পরদিন থেকে মজুরি দেওয়া হবে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির পরে ধস্তাধস্তি পরে একপর্যায়ে রিয়াদের মাথায় লোহা দিয়ে আঘাত করেন ইউসুফ। এতে তিনি বাসের ভেতরেই মারা যান।’
সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘তবে এর আগে আসামি ইউসুফের নামে কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড তাঁরা পাননি।’