চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত ১০ জনকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও পুরান বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ।
আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ বলেন, সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৫০ জন সদস্য কাজ করছেন। উদ্ধার অভিযান ও আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় গুরুতর আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হবে। গতকাল রাত থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিএমএইচে ১৫ জন রোগী ভর্তি আছেন। এ ছাড়া নৌবাহিনীর মেডিকেল সেন্টার প্রস্তুত আছে যেকোনো রোগীকে সেবা দিতে। বিমানবাহিনীও প্রস্তুত আছে সেবা দিতে। রোগীদের নিয়ে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এ ছাড়া সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার এবং নিরাপত্তা দলও নিয়োজিত রয়েছে। রাসায়নিক দ্রব্যাদি বিস্ফোরণের কারণে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রাসায়নিক সামগ্রী সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়া রোধে দলটি কাজ করছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মিলিটারি পুলিশও সহায়তা করছে। তা ছাড়া, বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম গতকাল রাত থেকে কাজ করছে।
সেনাবাহিনীর পাইলট মেজর আতিকুজ্জামান বলেন, ‘সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট আর্মি অ্যাভিয়েশন বিভিন্ন জরুরি সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীদের নিয়ে আসে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকালের বিস্ফোরণের ঘটনায় এমআই ১৭১ শাহ একটি হেলিকপ্টার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আহত রোগীদের বহন করে আনার জন্য গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুজন আসার কথা থাকলেও পরে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আমরা অপেক্ষা করছি। আশা করা যায় আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে রোগীদের নিয়ে চলে আসবে।’